নভেম্বর ২৩, ২০২৪

দেড় মাসের বেশি কারাবন্দি থাকার পর ২১ দিনের অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুক্তির পর শনিবার আম আদমি পার্টির (এএপি) অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন তিনি। এ সময় তিনি জানিয়েছেন, কেন তিনি সরকারি দলের চাপ থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াননি।

গ্রেফতারের পরে জেল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন আম আদমি পার্টির এই শীর্ষ নেতা। এতে সরকারি দল বারবার তাকে পদত্যাগে চাপ দিলেও তিনি তার পদ থেকে সরে দাঁড়াননি। এ বিষয়ে কেজরিওয়াল বলেন, আমার কাছে মুখ্যমন্ত্রীর পদ বড় কথা নয়, তবে সরকারি দল আম আদমি পার্টির নের্তৃবৃন্দকে জেলে বন্দি রেখে নেতৃত্বহীন করতে চায়।

এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়েছে, কেজরিওয়ালকে ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণা থেকে দূরে রাখতে সরকারি দল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন কেজরিওয়াল। তার দাবি, এএপি’কে ছত্রভঙ্গ করে অকার্যকর করতে এ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ক্ষেত্রে তিনি ইডিকে ব্যবহার করছেন।

মূলত নিজের দলকে সুসংহত রাখতেই তিনি সরকারি দলের অসহযোগীতার মাঝেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। এর আগে আম আদমি পার্টির আরো তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, সত্যেন্দর জৈন, মণীশ সিসোদিয়া এবং সঞ্জয় সিং।

সংবাদ সম্মেলনে মোদিকে উদ্দেশ করে কেজরিওয়াল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ে সবক নিতে চান তাহলে তার উচিত আমাদের কাছ থেকে শেখা। আমলা দুর্নীতিবাজদের এমনকি নিজ দলের মন্ত্রীদেরও জেলে পাঠিয়েছি।

এর আগে আবগারি দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২১ মার্চ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুর্নীতির একটি টাকাও তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। উদ্দেশ্য পুরোপুরি রাজনৈতিক। নির্বাচনের আগে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে সরকার প্রচার করতে দিতে চায় না। তারা চায় আম আদমি পার্টিকে ছত্রভঙ্গ করে দিতে। সেই কারণে তারা ইডিকে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আম আদমি পার্টির প্রধান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...