ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪

দেশের ১৭তম জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে নাটোরের কাঁচাগোল্লা। গত ৮ আগস্ট শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) এক সভায় এ অনুমোদন দেয়।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট শিল্প নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদফতরের মহাপরিচলক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত জিআই সনদ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা।

জেলা প্রশাসক অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৯ মার্চ তৎকালীন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ কাঁচাগোল্লাকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করেন। আর শিল্প মন্ত্রণালয় গত ৮ আগস্ট সনদ প্রদান করে।

এদিকে নাটোরের বিখ্যাত কাঁচাগোল্লাকে নাটোর জেলার নিজস্ব মিষ্টি হিসেবে নিবন্ধ দেয়ায় শহরবাসী ও ব্যবসায়ীরা অনেক খুশি। কাঁচাগোল্লা এখন শুধু নাটোরের পণ্য। এটাকে কেউ আর বিকৃতি করতে পারবে না।

নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, কাঁচাগোল্লা জেলা প্রশাসকের নামে নিবন্ধন হয়েছে। এখন এটাকে বিকৃত করতে দেয়া হবে না।

কাঁচাগোল্লার প্রস্তুত প্রণালি

গরুর দুধ ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা প্রক্রিয়া করে তৈরি হয় কাঁচাগোল্লা। সকাল থেকে নাটোর শহরের মিষ্টির দোকানগুলোর কারখানায় কাঁচাগোল্লা প্রস্তুতের প্রক্রিয়া শুরু হয়। মিষ্টি তৈরির কারখানায় দুধ ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট চুলায় জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় ছানা। ৮-১০ ঘণ্টা ছানা শুকিয়ে মাঝরাতে শুরু হয় কাঁচাগোল্লা তৈরি। ৭ কেজি ছানা ও ৩ কেজি চিনি ২০ থেকে ২৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় কাঁচাগোল্লা। শুধু দুধ ও চিনি দিয়ে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার প্রক্রিয়া শেষে তৈরি হয় নাটোরের বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা।

জেলা প্রশাসনের তথ্য বাতায়নে বলা হয়েছে, প্রায় ২৫০ বছর আগে শহরের লালবাজারে মধুসূদনের মিষ্টির দোকানের কারিগর না আসায় তার দোকানে থাকা ছানা নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। ছানাগুলো রক্ষায় চিনির রস ঢেলে জ্বাল দেন। চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে তিনি সেটা নিজেই খেয়ে পরীক্ষা করেন। চমৎকার স্বাদ পেয়ে নাম দেন কাঁচাগোল্লা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...