

কোনো ধরনের বিস্ফোরণ হয়নি। অথচ জাহাজের চার স্থানে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। আবার আগুন লাগার সময় জাহাজের পাশ দিয়ে একটি স্পিডবোটও চলে যেতে দেখা যায়। সব মিলিয়ে এমটি ‘বাংলার সৌরভ’ জাহাজে অগ্নিকাণ্ড প্রাথমিকভাবে নাশকতা বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রকৃত কারণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থাটি। এতে কথা বলেন বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর মাহমুদুল মালেক।
তিনি বলেন, যেহেতু গ্যাস ফর্ম কিংবা অন্য কোনো কারণে আগুন লাগার ঘটেনি। তাই আমরা ধারণা করছি, এটি নাশকতামূলক অগ্নিকাণ্ড হতে পারে। কিন্তু সবকিছু তদন্তের পরেই জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলার সৌরভ জাহাজের সম্মুখ অংশ থেকে একসঙ্গে চার স্থান আগুন লাগে। অথচ জাহাজে কোনো বিস্ফোরণ হয়নি। যখন জাহাজে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ঠিক এসময়ে পাশ দিয়ে একটি স্পিডবোটও যায়।
এর আগে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে এমটি বাংলার সৌরভে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের একাধিক টাগবোট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। জাহাজে আগুন লাগার পর ৪৮ নাবিক সমুদ্রে লাফ দেয়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের নাম সাদেক মিয়া। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। সাদেক জাহাজের স্টুয়ার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যায়।
এমটি বাংলার সৌরভ ১৯৮৭ সালে ডেনমার্কে নির্মিত হয়েছিল। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় ট্যাংকার থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে পতেঙ্গার বিভিন্ন ডিপোতে নিয়ে আসে।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ এমটি বাংলার জ্যোতিতে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়। কয়েকদিনের মাথায় একই ধরনের রাষ্ট্রায়ত্ত আরেকটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।