

সিদ্ধান্তটা নেয়া হয়েছিল ২০১২ সালে সাবেক চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সময়ে। ঠিক হয়েছিল, ২০২২ সালে জার্মানির সব পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সেই সময়সীমা বহাল রাখা সম্ভব হয়নি।
বামপন্থি ও বামমনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক নেতারা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু রক্ষণশীল ও শিল্পবাণিজ্যপন্থি রাজনীতিকরা আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন। গ্রিন পার্টি এই সিদ্ধান্তের বড় সমর্থক। দলের সংসদীয় গোষ্ঠীর নেতা রিকার্ডা ল্যাং বলেছেন, ‘এর ফলে আমরা রিনিউয়েবল এলার্জির নবায়নযোগ্য বা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির জগতে প্রবেশ করলাম। এখন জার্মানির বিদ্যুতের অর্ধেক এখান থেকেই আসে।’
দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘২০৩০ সালের মধ্যে জার্মানির ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ এই উৎস থেকেই আসবে। এর ফলে পরিবেশ রক্ষা পাবে এবং অর্থনীতির ভিত শক্ত হবে এবং মানুষ ভালো কাজ পাবে।’
জার্মান চ্যান্সেলর শলৎসের দল এসপিডি জানিয়েছে, ‘পরমাণু বিদ্যুৎকে বিদায়। অনিশ্চিত, অপরিষ্কার, আর্থিক দিক থেকে অলাভজনক শক্তিনীতিকেও বিদায়।’
কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের শরিক এফডিপি বলেছে, তারা এই সিদ্ধান্তে একেবারই খুশি নয়। দলের নেতা ও অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বিষয়টি যদি তার হাতে থাকত, তবে তিনি তিনটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বন্ধ হতে দিতেন না।
রক্ষণশীল সিএসইউ জানিয়েছে, ‘এটা জার্মানির কালো দিন হিসাবে চিহ্নিত হবে।’
সিডিইউ জানিয়েছে, ‘এই তিনটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল সবচেয়ে নিরাপদ ছিল।’ সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ