সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

মদের লাইসেন্স প্রদানের বিনিময়ে ভারতের আম আদমি পার্টি উৎকোচ গ্রহণ করেছে-এমন অভিযোগে দলটির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল কয়েক মাস ধরে ছিলেন কারাবন্দি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচক ও অন্যতম বিরোধী হিসেবে আবির্ভূত কেজরিওয়াল দুর্নীতির দায়ে প্রথম গ্রেপ্তার হন এ বছরের মার্চ মাসে। তবে মামলার ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আদালতের আদেশে জামিনে মুক্ত হয়েছেন দিল্লির এই মুখ্যমন্ত্রী। খবর এএফপির।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরুদ্ধে অবশ্য বিরোধী জোটের নেতারা এই মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করে আসছিলেন।

আজ ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির একটি বেঞ্চ এক রুলিংয়ে জানান, কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার আইনসম্মত তবে, অভিযোগ মাথায় নিয়ে মামলায় লড়তে থাকা বিরোধী জোটের এই শীর্ষ নেতা জামিনে মুক্ত থাকতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত তার দেওয়া আদেশে বলেন, ‘দীর্ঘ কারাবাস স্বাধীনতার জন্য অন্যায্য বঞ্চনার সমান।’

এর আগে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের সময় একই আদালত কেজরিওয়ালকে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়ার জন্য মুক্ত করে দিয়েছিল। তবে ভোটগ্রহণ শেষে তাকে আবারও কারাগারের বন্দিদশায় ফিরে যেতে হয়।

তিন বছর আগে উদার মদ বিক্রির নীতিমালা বাস্তবায়নের কারণে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। এই খাতে সরকারি লাভজনক অংশীদারত্ব বিকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ক্ষমতায় আসা ৫৫ বছর বয়সী কেজরিওয়াল প্রায় এক যুগ ধরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দুর্নীতির মামলায় তদন্তের অংশ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের বেশ কয়েকটি সমনকে তিনি অগ্রাহ্যও করেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *