

জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী দুদিনের মধ্যেই বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা হাজির হবেন নিউইয়র্কে। বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই অধিবেশনে এমন এক সময়ে যোগ দিচ্ছেন যখন দেড় দশকের স্বৈরতন্ত্র হঁটিয়ে ছাত্র-জনতা বাংলাদেশে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। ফলে অধিবেশনে ড. ইউনূসের যোগদান এবং যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রবাসীদের প্রত্যাশার কোনো শেষ নেই।
জাতিসংঘের অধিবেশন উপলক্ষে বরাবরের মতোই জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে সদস্য দেশগুলোর পতাকা উড়ানো হয়েছে। আর বাংলাদেশের পতাকাটি উড়ছে সবার আগে। এ যেনো নতুন বাংলাদেশকে স্বাগত জানানোর অন্য রকম আয়োজন।
সুদীর্ঘ দেড় দশকের স্বৈরশাসনের অবসানের পর বাংলাদেশের পক্ষে এবারের অধিবেশনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য দেয়া ছাড়াও একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এসব বৈঠকে বাংলাদেশের ভঙুর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের সহায়তা চাওয়া ছাড়াও তার সরকার গণতন্ত্র রক্ষায় কী কী ভূমিকা রাখতে চায় তাও তুলে ধরবেন।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ড. ইউনূসের সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে সব মহলে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা ড. ইউনূসের এই সফরকে দেখছেন ইতিবাচক হিসেবে। তাদের রয়েছে অনেক প্রত্যাশা।
এদিকে, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য হওয়ার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বিশেষ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ড. ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আমন্ত্রিত ৫০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সামনে। ১৯৭৪ সালের এই দিনে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।