লাল রঙের পাসপোর্টধারীদের (কূটনৈতিক পাসপোর্ট) সাধারণ পাসপোর্ট পেতে হলে পৃথক দুটি সংস্থার তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দেশের প্রচলিত নিয়মে কোনো ব্যক্তিকে সাধারণ পাসপোর্ট পেতে হলে শুধু পুলিশি তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়। অর্থাৎ, কোনো মানুষ সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে তার ঠিকানা যাচাই করে যে প্রতিবেদন দেয়, তার ভিত্তিতে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য পুলিশ ছাড়া অন্য কোনো সংস্থার প্রতিবেদনের প্রয়োজন পড়ে না।
দেশে লাল পাসপোর্ট পাওয়ার যোগ্যতায় রয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য এবং তাদের স্বামী বা স্ত্রী। সেই সঙ্গে উচ্চ আদালতের বিচারপতি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান, মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিদেশে বাংলাদেশি মিশনের কর্মকর্তারা লাল পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, মন্ত্রিসভার সদস্য, জাতীয় সংসদ সদস্যসহ যেসব ব্যক্তি ও তাদের স্বামী-স্ত্রীরা কূটনৈতিক পাসপোর্ট গ্রহণ করেছিলেন, তাদের কর্মকালের অবসান হওয়ায় সবার লাল পাসপোর্ট প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, লাল পাসপোর্ট নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে তাকে দুটি সংস্থার প্রতিবেদনের মুখোমুখি হতে হবে। এ দুটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই তার অনুকূলে সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।
এর আগে গত ৮ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ সাবেক এমপি–মন্ত্রীদের লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার । এর মধ্যে ২১ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত সরকারের এমপি, মন্ত্রী এবং বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ও চুক্তি বাতিল হওয়া কর্মকর্তাদের লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।