ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

বিজ রিপোর্ট

বিনিয়োগকারীদের জমা দেওয়া চেক নগদায়ন না হওয়া পর্যন্ত শেয়ার কেনা যাবে না বলে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা স্থগিতের দাবি জানিয়েছে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

গত মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক।

চিঠিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈশ্বয়িক অর্থনৈতিক সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে দেশের পুঁজিবাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, যা বর্তমানে বহাল রয়েছে। বিএসইসির ফ্লোর প্রাইজ নির্ধারণের ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা চরম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে পুঁজিবাজারের আস্থা ফিরলেও সম্প্রতি বিএসইসির নির্দেশক্রমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের দেওয়া চেক নগদায়ন না হওয়া পর্যন্ত শেয়ার ক্রয় করা যাবে না বলে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে। এই নির্দেশনার পরের দিন থেকে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং বাজারে ধারাবাহিক পতন হওয়ায় চরম অস্থিরতা বিরাজ করেছে।

চিঠি আরো উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর এ নির্দেশনাটি তৎকালিন কমিশন জারি করেছিল। এর পরের দিন থেকেই বাজারে অব্যাহত মহাপতন শুরু হলে তৎ্তকালীন কমিশন ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। বর্তমানে পুঁজিবাজারে পূনরায় এই নির্দেশনা জারির ফলে পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মধ্যে পড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে চেক নগদায়নের পর শেয়ার ক্রয়াদেশ দেওয়ার নির্দেশনা প্রত্যাহার করার জন্য জোড় দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়া চেক প্রদানের মাধ্যমে শেয়ার ক্রয়ে করে কোনো ব্যাক্তি বা ব্রোকারেজ হাউস যদি কোনো অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে তবে তাকে শাস্তি দেওয়া হোক ৷ কিন্তু যে আইনের কারণে পুঁজিবাজারের ক্ষতি হবে সেই আইন বাতিল করার দাবি জানিয়েছে বিনিয়োকারীরা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...