পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চীন সফরে অগ্রাধিকারে থাকবে আমাদের উন্নয়ন। বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অ্যাকাডেমির জার্নাল, স্মার্ট লাইব্রেরি এবং ওয়েবসাইটের উদ্বোধন শেষে এ কথা জানান তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সবার সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে ভারত সফর করে এসেছেন। সেই সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলাপেও আলোচনা হয়েছিল চীন সফরের বিষয়ে।
তিনি আরও বলেন, চীন আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নে, বঙ্গবন্ধু টানেল, পদ্মা ব্রিজসহ নানা ক্ষেত্রে অনেক আইকনিক স্থাপনা নির্মাণ কাজে চীনের অর্থ এবং লোকবল লেগেছে। তাই আগামী সফর নিশ্চিতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতদিন ধরে চীন আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় যে ভূমিকা রেখে আসছে সেই উন্নয়ন অভিযাত্রাকে বেগবান করতে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ।
চীন সফরে নতুন কোনও চুক্তি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেটি এখনও ফাইনাল হয়নি। এখনও বলার সময় আসেনি।
চীন সফর নিয়ে ভারতের কোনও আপত্তি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের কখনও কোনও আপত্তি ছিল না। আমরা যখন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম তখন চীনের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি তো চীন যাচ্ছি, সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবো। এভাবেই বিষয়টি এসেছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৮ জুলাই চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৯ জুলাই তিনি সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ১০ জুলাই বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। একই দিন চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অব চায়নার প্রেসিডেন্ট ঝাও লেজির সঙ্গেও বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। সফরে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাবে। সেখানে চীনা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা।