বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস (ইসকন) এবং এর সঙ্গে যুক্ত ১৭ ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে। এসব ব্যক্তি এবং তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো (আমদানি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের হিসাব ব্যতীত) এই আদেশের আওতায় রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮-১১-২০২৪) বিএফআইইউ দেশের সব ব্যাংকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব, লেনদেন বিবরণী, ঋণ সংক্রান্ত তথ্য, আমানত, আমদানি ও রপ্তানি সংক্রান্ত সব নথি নির্ধারিত ছকে তিন দিনের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে।
এই সিদ্ধান্ত মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২৩(১)(গ) ধারার আওতায় নেওয়া হয়েছে। সাধারণত অর্থপাচার বা অবৈধ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেলে এই আইন অনুসারে ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়।
এই তালিকায় রয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, যার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৫১৩৭৬৫১০৪২৬। তাকে গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ চলছে।
অন্যান্য তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, কার্ত্তিক চন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্ব কুমার সিংহ, চন্ডিদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপী রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাশ, প্রিয়তোষ দাশ, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশ চন্দ্র অধিকারী এবং সজল দাস।
বিএফআইইউর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণী এবং আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সব তথ্য আগামী তিন দিনের মধ্যে পাঠাতে হবে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন সংগঠন থেকে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এই পরিস্থিতি আরও গভীর পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।