বাংলালিংক দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রাহক ও আয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে বাংলালিংকের আয় আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৪৪ কোটি টাকা।
মোট গ্রাহক সংখ্যা ও বিশেষভাবে ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বাংলালিংকের এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও এর পেছনে অবদান রেখেছে দ্রুত গতির ইন্টারনেট, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা যেগুলো প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের জীবন মানকে আরও সহজ করে তুলেছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মার্চ ২০২৪ নাগাদ বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা এক বছরের ব্যবধানে ৩% বৃদ্ধি পেয়ে ৪ কোটি ১০ লাখ থেকে ৪ কোটি ৪৪ লাখে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য, বিগত এক বছরে বাংলালিংক গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির হারে দেশের সকল অপারেটরগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে।
ভিওনের এই প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলালিংকের ফোর-জি গ্রাহক ২০২৩ সালের ১ কোটি ৭০ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২০ লাখে যা ২৩ শতাংশেরও বেশি। এই অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা প্রদানের মাধ্যমে বাংলালিংকের জাতীয় অপারেটর হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।
“ফোর-জি ফর অল” ভিশনের অধীনে দেশব্যাপী ফোর-জি কভারেজ ও গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলালিংক দেশের দ্রুততম মোবাইল ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবেও নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। গত চার বছরে টানা আট বার দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রদানকারী টেলিকম অপারেটর হিসেবে ওকলা স্পিড টেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে বাংলালিংক।
ভিওনের ডিজিটাল অপারেটর ১৪৪০ মডেলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলালিংকের ডিজিটাল অপারেটর কৌশল সাজানো হয়েছে যা বাংলাদেশে উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবার বিকাশ ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়াও, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বিল পে ও বিনোদনের মত সকল প্রয়োজনীয় সেবা একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে দেওয়ার ফলে মাইবিএল সুপারঅ্যাপ দেশের প্রথম টেলকো সুপারঅ্যাপ হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই সুপারঅ্যাপের মাসিক সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৮০ লাখেরও বেশি।
বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, “বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ও আয় বৃদ্ধিই বলে দেয় গ্রাহকরা দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ফোর-জি ইন্টারনেট সেবাদাতা অপারেটররের ওপর আস্থা রেখেছে। ডিজিটাল অপারেটর ১৪৪০ কৌশলের ওপর আস্থা রেখে দিনের প্রতিটি মিনিটে গ্রাহকের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা নিয়ে হাজির থাকার প্রচেষ্ঠার ফলেই এসেছে এই সাফল্য। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও ডিজিটাল সেবার মান বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ এক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছে, যা স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১-এর সাথেও দারুণভাবে সংগতিপূর্ণ। বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবা একটি বিকাশমান পর্যায়ে রয়েছে তাই এই খাতের প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আমরা আশাবাদী। বাংলালিংকের গ্রাহক ও অংশীজনদের প্রতিনিয়ত আমাদের সমর্থন করে যাওয়ার জন্য জানাই কৃতজ্ঞতা”।