গাজায় যা ঘটছে তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য৷ গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তিনি ফোন ধরেননি বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
গাজায় নিহত জাতিসংঘের কর্মী ও অন্যান্য ত্রাণকর্মী হত্যার ঘটনায় জবাবদিহির অভাবও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন গুতেরেস। গাজায় প্রায় ৩০০ ত্রাণকর্মী মারা গেছেন, যার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি জাতিসংঘের কর্মী বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।
গাজায় এখন পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধ বিষয়ে গুতেরেস বলেন, সেখানে ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অত্যন্ত নাটকীয় লঙ্ঘন ঘটছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়টি সেখানে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।’
তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, তারা সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতির ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করে। গাজায় নিহত ব্যক্তিদের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ উগ্রবাদী বলে দাবি তাদের। হামাস সাধারণ নাগরিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা। তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা না হওয়া প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলিনি; কারণ, তিনি আমার ফোন ধরেননি।’
দুই সপ্তাহ পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের সময় নেতানিয়াহু কথা বলতে চাইলে তিনি রাজি আছেন বলেও জানান গুতেরেস। তিনি বলেন, ‘আমার তাঁর সঙ্গে কথা না বলার কোনো কারণ নেই।’
পৃথিবীর বর্তমান অবস্থাকে বিশৃঙ্খল বলে আখ্যায়িত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।’