

গাজার দেইর আল-বালাহের আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছেন আহত ফিলিস্তিনিরা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৪ হাজারেরও বেশি নারী ও শিশু।
এছাড়া টানা আড়াই মাস ধরে চলা এই আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের এই ভূখণ্ডে তিন লক্ষাধিক আবাসন ইউনিট ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ২০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বুধবার জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত ৮ হাজার শিশু এবং ৬ হাজার ২০০ নারী রয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩১০ জন চিকিৎসক, ৩৫ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী এবং ৯৭ জন সাংবাদিক রয়েছেন।
টানা আড়াই মাস ধরে নিরলস ইসরায়েলি হামলা গাজা উপত্যকাজুড়ে প্রায় ৩ লাখ ৮ হাজার আবাসন ইউনিট ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে অফিস জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ১১৪টি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে এবং ২০০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া উপত্যকার চারটি গির্জাকেও হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ১২৬টি সরকারি ভবন ধ্বংস করেছে এবং হামলায় ২৮৩টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৯০টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, বুধবার গাজাজুড়ে বিমান হামলা অব্যাহত ছিল এবং উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।