

গাজার দেইর এল-বালাহর একটি অস্থায়ী হাসপাতালে দখলদার ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানকার খাদিজা নামের একটি স্কুলে হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছিল।
শনিবার (২৭ জুলাই) এই ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, হাসপাতালটি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এতে অন্তত ৩০ জন নিহত এবং অসংখ্য মানুষ আহত হন।
মিডিয়া অফিস বিবৃতিতে বলেছে, “কয়েক ডজন রোগী এবং আহত মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া অস্থায়ী হাসপাতালে দখলদার ইসরায়েল ভয়াবহ গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা।”
বিবৃতিতে তারা আরও বলেছে, “বাস্তুচ্যুত বেসামরিক মানুষের উপর চালানো এই গণহত্যার পুরোপুরি দায় দখলদার ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের।”
গত কয়েকদিন ধরে গাজায় আবারও হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এতে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর ওইদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। তাদের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নিহত ও আহতদের বেশিরভাগই নিরীহ নারী ও শিশু।
গাজার বর্বরতা বন্ধে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করার চেষ্টা করছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো। তবে দখলদার ইসরায়েলের বাধার কারণে এখনো চুক্তি করা সম্ভব হয়নি।
সূত্র: আলজাজিরা