নভেম্বর ২৩, ২০২৪

দুবাইয়ে অবস্থানরত বাংলাদেশি স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আরাভ খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ মে) ঢাকার ১৪ নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুর্শিদ আহাম্মেদ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। অস্ত্র মামলায় তার এই সাজা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের পেশকার আবুল কাশেম।

গত ২৮ মার্চ এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওই দিন সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার। এ মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে মগবাজারের বাসায় যান। একটি গুলিভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন। ওই দিনই আরাভের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন গোয়েন্দা পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপপরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১ মার্চ আরাভ খানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার। একই বছরের ১০ মে আরাভের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

এই মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান তিনি। জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর আদালত আরাভের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...