প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সংবাদ সম্মেলনে দুইবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে। শেষবার বিদ্যুৎ না আসায় ক্যামেরার আলোতে সংবাদ সম্মেলন শেষ করতে হয় সংগঠনটিকে।
শনিবার (৩ জুন) এফবিসিসিআই আয়োজিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি জসিম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। রাজধানীর মতিঝিলের এফবিসিসিআই আইকনে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের এই ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সংবাদ সম্মেলন চলার মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর বেশ কিছুক্ষণ পার হলেও বিদ্যুতের লাইট আর জ্বলেনি। এসময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান চালিয়ে নেওয়া হয় জেনারেটরের শক্তিতে। শেষ পর্যায়ে সেই জেনারেটরের আলোটুকুও নিভে যায়। ফের অন্ধকারে সাংবাদিকদের প্রশ্ন নিতে শুরু করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এসময় সেখানে উপস্থিত ভিডিও সাংবাদিকদের ক্যামেরার লাইট জ্বালানো হয়। সেই ক্যামেরার আলোতে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলন এফবিসিআই সভাপতি বলেন, বিশাল এই বাজেট বাস্তবায়নে অর্থনীতিতে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়া অন্যতম। এছাড়া মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ, লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতি উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখ এবং রিজার্ভ বাড়ানোও এই বাজেটে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।
এসময় দেশীয় শিল্প উৎপাদন সচল রাখতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সময়বদ্ধ পরিকল্পনা ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সুপারিশ করেছে এফবিসিসিআই। পাশাপাশি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে নজর দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।
এদিকে কয়লা সংকটে উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে দেশের বৃহত্তম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রার। বর্তমানে যে পরিমাণ কয়লা আছে তা দিয়ে ৫ জুন রাত পর্যন্ত কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালিয়ে নেওয়া যাবে। ২০২০ সালের ১৫ মে থেকে পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে এবং ওই বছরের ডিসেম্বরে প্ল্যান্টটির দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করে। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করলেও সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় দীর্ঘদিন একটি ইউনিট অলস বসে ছিল।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার পর এবারই প্রথমবারের মতো কেন্দ্রটি কয়লা সংকটের কারণে পুরোপুরি বন্ধ করতে হচ্ছে।