নভেম্বর ৮, ২০২৪

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড। মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ডটির লেনদেন মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) শুরু হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই) এর আয়োজিত রিং দ্যা বেল অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ফান্ডটির লেনদেন শুরু হয়। এর ফলে পুঁজিবাজারে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড ১৫৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।

এদিন ডিএসই আয়োজিত ডেবিউ ট্রেডিং এবং রিং দ্য বেল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাসান রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশর (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেনসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ১৪ আগস্ট পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তার ৮৮০তম কমিশন সভায় ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের প্রসপেক্টাস অনুমোদন করে। ফান্ডটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর এর ট্রাস্টি ও কাস্টোডিয়ানের দায়িত্ব পালন করছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি।

প্রাথমিকভাবে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০০ কোটি টাকা। ফান্ডটির উদ্যোক্তা এতে ১০০ কোটি টাকা জোগান দিয়েছেন। বাকি ১০০ কোটি টাকা আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করার কথা। কিন্তু আইপিওতে নির্ধারিত ইউনিট বিক্রি না হওয়ায় ফান্ডটির আকার দাঁড়িয়েছে ১৫৬ কোটি টাকা।

ফান্ডটি ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু করবে। ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ট্রেডিং কোড হবে ‘CAPITECGBF’। ডিএসইতে ফান্ডটির ট্রেডিং কোড হবে ১২২০৫।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ফান্ডটির বরাদ্দপ্রাপ্ত ইউনিট বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে। তার আগে গত সোমবার (৯ অক্টোবর) যোগ্য বিনিয়োগকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইউনিট বরাদ্দ করা হয়েছে।ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের (ইএসএস) মাধ্যমে যোগ্য়তাসম্পন্ন ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইউনিট বরাদ্দ করা হয়।

আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের জন্য ফান্ডটির ১০০ কোটি টাকার ইউনিট সংক্ষিত ছিল। এর বিপরীতে বিপরীতে ৫৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ইউনিট কেনার জন্য আবেদন জমা পড়ে। সংক্ষিত ইউনিট সংখ্যার চেয়ে কম আবেদন জমা পড়ায় প্রত্যেক আবেদনকারী শতভাগ ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছেন।

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...