ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

দুই দিনের সফরে শনিবার (১ জুলাই) নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের প্রথম দিনে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় উদ্বোধন করে সেখানে বৃক্ষ রোপণ করেন তিনি। পরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা ভবনের সামনে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সামনে নিয়ে আসা হয় পোলাও, সাদা ভাত, খাসির মাংস, ডাল, সবজি ও সেমাই। পোলাও বাদে একে একে সব খাবার খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ৫ হাজার নেতাকর্মীও দুপুরের খাবার খান।

মধ্যাহ্নভোজের আগে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকার দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। তবু, কিছু মানুষ সরকারের উন্নয়ন দেখে না। তারা চোখ থাকতে অন্ধ। তাদের প্রতি করুণা ছাড়া আর কিছু করার নেই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করবই। যারা চায়নি, দেশের উন্নয়ন হোক; এটা তাদের প্রতি আমার চ্যালেঞ্জ। নিজের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য নয়, জনগণের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য আমি ক্ষমতায় এসেছি। সেটা আমি বাস্তবায়ন করে দেখাবো।’

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি শেষে কোটালীপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করে। পরে তিনি নিজ বাসভবনে যান।

আওয়ামী লীগ নেত্রী শাবানা খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছেন, এটা আমাদের কাছে পরম পাওয়া। মায়ের মতো তিনি সবাইকে নিয়ে খাবার খেয়েছেন। এতে আমরা গর্বিত। আমার চাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার এসে আমাদের সাথে খাবেন।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যাহ্নভোজের জন্য পোলাও, সাদা ভাত, খাসির মাংস, ডাল, সবজি ও সেমাই করা হয়েছে। তিনি পোলাও ছাড়া বাকি সব খাবার খেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এর আগে কোনো রাষ্ট্রনায়ক এভাবে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে খেয়েছেন কি না, আমাদের জানা নেই। কোটালীপাড়ার মানুষ অত্যন্ত ধন্য হয়েছে। তিনি আমাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমরা নেত্রী জন্য দোয়া করি, তিনি দীর্ঘায়ু লাভ করুন এবং আগামী নির্বাচনে জয় লাভ করে আবারও প্রধানমন্ত্রী হন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...