নভেম্বর ১৫, ২০২৪

চিত্রনায়িকা পরীমনি বর্তমানে ওয়েব সিরিজ, ওয়েব সিনেমা, বড়পর্দার একাধিক সিনেমার কাজ শুরু করছেন। এবার জানালেন নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তের কথা।

পরীমনি বলেন, সুন্দর সুন্দর সিনেমা করতে চাই। সংখ্যাটা বড় না। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একদম বেছে বেছে, ভালো ভালো কাজ করব। এখন আমার সন্তান আছে, তাকে সময় দিতে হয়। সব কিছু ভেবেই শুটিং করতে হবে।

তবে কাজে ফিরতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানালেন এই নায়িকা। চেষ্টা করছেন নানাভাইকে হারানোর শোক সামলে উঠতে।

মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে নিজের মানসিক অবস্থা সাংবাদিকদের কাছে খোলাসা করেন আলোচিত এই নায়িকা।

পরীমনিকে সম্প্রতি সেভাবে আর পাওয়া যাচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নে এই নায়িকা বলেছেন, তিনি হারিয়ে যাননি, ভালোই আছেন।

নানাভাইয়ের কথা স্মরণ করে এ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের পরীমনি বলেন, নানু মারা যাওয়ার শোক কাটিয়ে উঠে আমার স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে। তবে আমি ভেঙে পড়ার মানুষ নই।

ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারিয়ে পরীমনি বেড়ে ওঠেন ভাণ্ডারিয়ায় নানার বাড়িতে। সেখান থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন পরীমনি।

পরীমনির ভাষ্য, নানা শামসুল গাজীই ছিলেন তার ‘অভিভাবক’। পরীমনি ঢাকায় স্থায়ী হলেও তার নানা শামসুল হক ভাণ্ডারিয়াতেই থাকতেন। তবে পরীমনির সুসময়-দুঃসময়ে বরাবর নাতনির পাশে দেখা গেছে তাকে।

ছয় বছর আগে বাবা দিবসে এক ফেসবুক পোস্টে পরীমনি বলেছিলেন, তার নানা শামসুল হক গাজীকেই তিনি ‘বাবার জায়গা দিয়েছেন’।

নানাও মনে করতেন নাতনিই ‘তার সব’। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শামসুল হক গাজী বলেছিলেন, ‘আমার কাছে একদিকে পৃথিবী আরেক দিকে পরী। ওই-ই আমার পৃথিবী।’

সন্তানের কারণে প্রায় দুই বছর শুটিং থেকে দূরে ছিলেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি পরীমনি।

মাঝে পারিবারিক কারণে আলোচনায় এসেছেন অনেকবার। স্বামী শরিফুল রাজকে তালাকের চিঠি পাঠিয়েও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।

কয়েক মাস আগে বিরতি ভেঙে আবার শুটিং সেটে ফিরেছেন এই নায়িকা। এই অধ্যায়কে পরীমনি মনে করছেন, তার জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...