

সমর্থকদের চাপে ভাঙল এমিলিয়ানো মার্তিনেজের গাড়ি। যেই গাড়িতে তিনি এসেছিলেন মিলনমেলায় সেই গাড়িটি সমর্থকদের চাপে ভেঙে গেল। তাঁকে ফিরতে হল পুলিশের গাড়িতে করে।
আর্জেন্তিনা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতায় এসেছেন এমি। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে যেই ভিড় ছিল সেটা দেখে আপ্লুত হয়েছেন। এরপর মঙ্গলবার সকালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন তাহাদের কথা অনুষ্ঠানে। যেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানান ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান ক্লাবের কর্তারা। তিনি নিজের কথাও শেয়ার করে নেন সেই অনুষ্ঠানে। এরপরেই তালকাটে।
মার্তিনেজ যখন ফিরে যাচ্ছিলেন সেই সময় সমর্থকদের চাপ গিয়ে পড়ে গাড়িতে। মার্তিনেজের জন্য আয়োজন করা নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে সমর্থকরা পৌঁছে যান তাঁর গাড়ির কাছে আর সেটার চাপে ভাঙল তাঁর গাড়ির কাঁচ। বাধ্য হয়ে পুলিশের গাড়িতে করে তাঁকে ফিরতে হল।
তবে অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছিল। এই অনুষ্ঠানের জন্য তিনটে শ্রেণীর টিকিট ছিল। গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জ। ব্যারিকেড দিয়ে এগুলো ভাগ করা হয়েছিল। তবে এরমধ্যে ছিলেন না কোনও পুলিশ বা নিরাপত্তারক্ষী। ফলে অনুষ্ঠান শুরু হতেই দর্শকরা মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসতে থাকেন। ফলে গোল্ড টিকিটধারী ও ব্রোঞ্জ টিকিটধারীরা একসঙ্গে মার্তিনেজকে দেখলেন।
সঙ্গে ছিল স্টেজের প্রায় সামনে গিয়ে মার্তিনেজের ছবি তোলার হিড়িক। আয়োজকের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। এরপর তিনি যখন বেরোন তখন তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে চান সমর্থকরা। তাতেই বাধে বিপত্তি। কারণ মার্তিনেজকে বের করে নেওয়ার জন্য আলাদা কোনও ব্যবস্থা ছিল না, ফলে সমর্থকদের সামনে পড়ে যায় তাঁর গাড়ি। আর সমর্থকদের চাপে পড়ে কাঁচ ভাঙে।
সমর্থকদের উন্মাদনা বরাবরই ফুটবলাররা উপভোগ করেন। এরআগে অনেক বিদেশি ফুটবলার এসেছেন এদেশে। কিন্তু কারও গাড়ির কাঁচ ভাঙতে দেখা যায়নি। ফলে মার্তিনেজের সঙ্গে যেটা হল সেটা মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন হল না কলকাতার জন্য বা সমর্থকদের জন্য। মার্তিনেজ বাংলাদেশ ছাড়ার সময় সেখানকার মানুষদের প্রশংসা করেছিলেন, ফের বাংলাদেশে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু কলকাতায় এসে শুরুতেই হল ছন্দপতন।