ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

ঈদুল আজহার বাকি আর দু-একদিন। গ্রামে পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ উপভোগ করতে ঢাকা ছাড়ছেন মানুষজন। ঈদযাত্রায় রাজধানীর কমলাপুরে বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের চাপ। তবে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগ থাকলেও এবার তেমনটি দেখা যায়নি কমলাপুর রেল স্টেশনে।

সোমবার (২৬ জুন) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, লাইন ধরে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করছেন যাত্রীরা। এ সময় যাদের কাছে টিকিট ছিল না, তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সরেজমিন দেখা গেছে, এবারের ঈদযাত্রায় টিকিটের ব্যবস্থা শতভাগ অনলাইন পদ্ধতিতে চালুর কারণে বিগত সময়ের মতো স্টেশনে রাত জেগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি যাত্রীদের। তবে যারা অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি, তাদের জন্য স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তবে সেখানেও তেমন ভিড় নেই। সহজেই টিকিট কেটে গন্তব্যে যেতে পারছেন তারা। স্টেশনে ঢুকতে তিনটি তল্লাশি চৌকি পার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। স্টেশনের ভেতরে নেই হট্টগোল। টিকিটধারীরা নির্ধারিত ট্রেন এলেই উঠছেন।

রাজশাহীগামী ইয়াকুব আলী বলেন, আগের থেকে এবার ঈদযাত্রা ভালো লাগছে। আমি অনলাইনে দুটো টিকিট কিনেছি। পরিবারের সবাই একসাথে ঈদ করতে যাচ্ছি। অনলাইনের টিকিটের কারণে অনেক ভালো হয়েছে।

জামালপুরগামী যাত্রী লুনা বলেন, চার বছর পর গ্রামে যাচ্ছি। আগে গ্রামে যেতেই ভোগান্তি পোহাতে হতো। এবার তেমন কোনো সমস্যা দেখছি না। আগে থেকেই টিকিট পাওয়ায় এসব ঝামেলা আর হচ্ছে না।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল থেকে সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। অনলাইনে আগেই সব টিকিট বিক্রি হয়েছে। মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হচ্ছে কাউন্টার থেকে। যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে স্টেশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। টিকিট ছাড়া কাউকে প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...