২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। এদিন বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ রুটিন প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা হবে। ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ২০ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি প্রথম পত্র, ২২ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র, ২৫ ফেব্রুয়ারি গণিত পরীক্ষা হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, ২৮ ফেব্রুয়ারি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ২৯ ফেব্রুয়ারি গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষি শিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, চারু ও কারুকলা, ৩ মার্চ পদার্থ বিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, ৫ মার্চ রসায়ন, পৌরণীতি ও নাগরিকতা, ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়ের পরীক্ষা চলবে।
৬ মার্চ ভূগোল ও পরিবেশ, ৭ মার্চ জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি, ১০ মার্চ বিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, ১১ মার্চ হিসাব বিজ্ঞান, ১২ মার্চ বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে।
সংগীতসহ অন্য সব বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে ১৩ মার্চ, ২০ মার্চের মধ্যে সব ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্রসচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয় গত ৩০ অক্টোবর। দুই দফায় সময় বাড়িয়ে ফরম পূরণ প্রক্রিয়া গত ১৯ নভেম্বর শেষ হয়। তবে ঠিক কতজন শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছে, তা এখনো জানায়নি শিক্ষা বোর্ডগুলো।
কোভিড মহামাারির পর দেশে মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি এলোমেলো হয়ে যায়। আগামী বছরের পরীক্ষার মাধ্যমে অনেকটা স্বাভাবিক ধারায় ফিরতে যাচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখের বেশি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মাথায় গত ২৮ জুলাই এই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।