ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছে দেশটির সিআইডি।
শনিবার বারাসাত আদালতে প্রায় ১২০০ পৃষ্ঠার ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— সিআইডি সূত্রের খবর, চার্জশিটে ‘কসাই’ জিহাদ হাওলাদার এবং সিয়ামের নাম আছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে চার্জশিটে কিছু বলা হয়নি।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম ১২ মে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় যান। পরদিন কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে খুন হন তিনি। ২২ মে তার খুন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুই দেশের পুলিশ। হত্যার পর তার লাশ কেটে কুচি কুচি করা হয় বলে জানা যায়। তবে এই দেহাংশের পুরোটা এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
তার মাথার খুলি ও হাড়ের খোঁজে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের কাছে বাগজোলা খালে তল্লাশিও চালানো হয় জুনে। তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, আনারের মরদেহের কিছু টুকরো বাগজোলা খালে ফেলা হতে পারে।
এদিকে আনোয়ারুল আজীম কলকাতায় সর্বশেষ যে ফ্ল্যাটে ছিলেন অর্থাৎ সঞ্জিভা গার্ডেনসে, বাংলাদেশের সাবেক গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদের অনুরোধে ওই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাঙ্কে তল্লাশি চালিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক এবং বর্জ্য যাওয়ার পাইপ-লাইন থেকে মাংসের টুকরো, মাথার চুল উদ্ধার করেছিল ভারতের সিআইডি। সেগুলো আনোয়ারুল আজীমের কি না সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।