বিজ প্রতিবেদক
প্রতিবছর নভেম্বর মাস এলেই আয়কর মেলার অপেক্ষায় থাকেন সাধারণ করদাতারা। তবে এ বছরও এই মেলার আয়োজন হচ্ছে না।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর মেলা হয়নি। এবার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকায় করদাতাদের প্রত্যাশা ছিল মেলার আয়োজন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। কিন্তু এবারও মেলা বসছে না।
মেলা না হওয়ার কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ব্যাখা দেয়নি এনবিআর। তবে কর কার্যালয়ে রিটার্ন দেয়ার সুবিধা নিশ্চিত করতে নভেম্বর মাসজুড়ে সেবা মাস পালন করা হবে।
আয়কর মেলা নিয়ে সাধারণ করদাতাদের মধ্যে বরাবরই ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। কারণ কর মেলায় কোনো হয়রানি পোহাতে হয় না। রিটার্ন ফরম পূরণ থেকে শুরু করে কর পরিশোধের টাকাও জমা দেয়া যায়। কর কর্মকর্তারাও কর মেলায় বেশ সহযোগিতা করে থাকেন।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ১ নভেম্বর থেকে দেশের প্রতিটি কর অঞ্চলে করদাতাদের জন্য সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে। সেখানে রিটার্ন জমার পাশাপাশি রিটার্ন ফরম পূরণে সহায়তা দেয়া হবে। রিটার্ন জমার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্র মিলবে।
এছাড়া ই-রিটার্ন জমা দিতে আগ্রহী করদাতাদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব ও সচিবালয়ে রিটার্ন নেয়ার বুথ স্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।
আগামী ৩০ নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সভা-সেমিনারসহ নানা আয়োজন থাকবে।
২০১০ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকা ও চট্টগ্রামে আয়কর মেলার আয়োজন করা হয়। এরপর থেকে দশ বছরে পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়। বিভাগীয় শহর, জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়েও কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল।
এনবিআর সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৩ লাখ ৩০ হাজার করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছেন। বর্তমানে ৮০ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। তাদের সবার রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক।
এবারের বাজেটে ৩৮টি সেবায় রিটার্নের সঙ্গে স্বীকারপ্রাপ্তি জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে এনবিআর আশা করছে আয়কর রিটার্ন জমার সংখ্যা অনেক বাড়বে।
বর্তমানে দেশে ২৫ লাখ করদাতা রিটার্ন জমা দিচ্ছেন।