ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলন করছে বেশ কয়েকটি সংগঠন ও ছাত্রজনতা। তাদের মধ্যে কিছু আন্দোলনকারী বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় গাছের শুকনো ডাল ভেঙে এনে আগুন ধরিয়ে দেয়।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আগুনকে ঘিরে আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বিকেল থেকে বেশ কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে ছাত্রজনতা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এরমধ্যে সন্ধ্যার পর আন্দোলনকারীদের মধ্যে ইনকিলাব মঞ্চ নামে একটি সংগঠন উপদেষ্টাদের আশ্বাসে বঙ্গভবনের সামনে থেকে সরে যান।

তবে আরও কয়েকটি সংগঠন তাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। এর মধ্যে রাত ৮টার দিকে কিছু আন্দোলনকারী বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় গাছের শুকনো ডালে আগুন ধরিয়ে পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ডিএমপি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে সেজন্য স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সহযোগিতায় রয়েছেন সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়ে যাওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’

তবে সম্প্রতি মানজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।’

এরপর নতুন করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...