বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আগেই। আর এই খবরে দেশের বিভিন্ন স্থানে উল্লাসে মেতে ওঠেন ছাত্র-জনতাসহ সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় সহিংসতা-অরাজকতা।
সহিংসতার এসব ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে দেশটি বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছে উল্লেখ করে বলেছে, এখন প্রতিশোধ নেওয়ার সময় নয়।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বুধবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সদস্যদের ওপর হামলাসহ বাংলাদেশে অব্যাহত সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র মঙ্গলবার পিটিআই-কে বলেছেন, ‘ধর্মীয় বা রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সদস্যদের ওপর হামলাসহ বাংলাদেশে সহিংসতার প্রতিবেদন নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা পুলিশ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সহিংসতার রিপোর্ট নিয়েও সমানভাবে উদ্বিগ্ন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা সব পক্ষ থেকে উত্তেজনা কমানোর এবং শান্ত হওয়ার জন্য আমাদের আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করছি। এটি প্রতিশোধ নেওয়ার সময় নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু এবং অংশীদার হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে এবং সকলের জন্য মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এগিয়ে নেওয়ার কাজ অব্যাহত রাখবে।’
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে হাসিনা গত সোমবার পদত্যাগ করেন এবং বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। সেখান থেকে সম্ভবত যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিতে তিনি লন্ডনে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
তবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের যে অভিবাসন আইন রয়েছে; সেখানে কোনো ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করে এসে রাজনৈতিক বা সাধারণ আশ্রয় নেওয়ার বিধান নেই।
এছাড়া কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসা যুক্তরাষ্ট্র বাতিল করেছে বলে নিশ্চিত করেছে।