

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭ জন বাংলাদেশির সবাইকে এক সপ্তাহের মধ্যে মুক্তি দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। বিবিসি বাংলাকে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ করা আইনজীবী ওলোরা আফরিন।
তিনি বলেন, আমরা আগেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম। কোর্টে একই আদেশে তাদের সবাইকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজেই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই উনাদেরকে বের করে দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে আমরা আশা করছি। হয়তো দু-একদিন কম-বেশি হতে পারে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে গতকাল ক্ষমা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
গতকাল সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গণমাধ্যম সম্পাদক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ তথ্য জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
ওলোরা আফরিন বিবিসিকে আরও বলেন, কারাগারে বন্দী ৫৭ জন বাংলাদেশির সবার সব তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। আবুধাবি, দুবাই, শারজাহসহ বিভিন্ন শহর থেকে আমরা এখন পর্যন্ত দণ্ডপ্রাপ্তদের ৪২ জনের তালিকা পেয়েছি। বাকি ১৫ জনের নাম, ঠিকানা, কর্মস্থল ও পরিবার-পরিজন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।