নভেম্বর ১৫, ২০২৪

তেল-উৎপাদনকারী দেশগুলো দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে তেলের উৎপাদন কমানো অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে। সৌদি আরব বলেছে, তারা আগামী জুলাই মাসে প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করবে।

অন্যদিকে ওপেক প্লাস বলেছে, ২০২৪ সাল থেকে দিনে আরও ১৪ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাবে তারা। এতে করে এশিয়ার বাজারে বেড়েছে তেলের দাম। সোমবার (৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসের সদস্য ও এর সহযোগী দেশগুলো বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের ৪০ শতাংশ জোগান দিয়ে থাকে। ফলে এসব দেশ তেলের উৎপাদন বাড়ানো বা কমানোর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যে তার প্রভাব পড়ে।

বিবিসি বলছে, সোমবার এশিয়ার সকালের বাণিজ্যে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের মূল্য ২ শতাংশের বেশি বেড়ে ব্যারেল প্রতি প্রায় ৭৮ মার্কিন ডলার হয়েছে।

অন্যদিকে পৃথক প্রতিবেদনে আল জাজিরা বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেল তেল পাঠানো কমিয়ে দেবে সৌদি আরব। রোববার এই দেশটি বলেছে, ওপেক প্লাস সদস্য দেশগুলোর আগের দুই দফায় উৎপাদন হ্রাস দাম বাড়াতে ব্যর্থ হওয়ার পরে অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন কমানোর এই সিদ্ধান্ত জুলাই মাস থেকে কার্যকর করা হবে।

পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাস-এর নেতৃত্বে রয়েছে রাশিয়া। ভিয়েনায় সংস্থাটি সদর দপ্তরে সাত ঘণ্টা আলোচনার পর উৎপাদন কমানোর নীতির বিষয়ে দেশগুলো একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে এবং ২০২৪ সালের মধ্যে সরবরাহে পূর্ববর্তী হ্রাস আরও বাড়িয়ে মোট ১৪ লাখ ব্যারেলে পৌঁছাতে সম্মত হয়েছে।

সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী আবদুল আজিজ বিন সালমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি মহান দিন, কারণ চুক্তির মান অভূতপূর্ব। তেলের নতুন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অনেক বেশি স্বচ্ছ এবং অনেক বেশি ন্যায্য’।

তিনি আরও বলেন, রিয়াদের তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়টি প্রয়োজনে জুলাইয়ের পর আরও বাড়ানো হতে পারে।

উল্লেখ্য, ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের অপরিশোধিত তেলের প্রায় ৪০ শতাংশ এককভাবে উৎপাদন করে থাকে। এর ফলে সৌদি আরবের এই ধরনের সিদ্ধান্ত তেলের দামের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...