ঈদের সময় ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ও শিডিউল বিপর্যয় নিরসনে বেশ কয়েকটি কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরমধ্যে নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা নিশ্চিত করে যাত্রী সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা রক্ষার জন্য ডিভিশনাল ও জোনাল কন্ট্রোলে পৃথক পৃথক মনিটরিং সেল গঠন করে কর্মকর্তাদের ইমার্জেন্সি ডিউটি প্রদান করা হবে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা ও বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রস্তুতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে’ এসব কথা জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।
তিনি বলেন, সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও জংশন স্টেশন এবং সিগন্যাল কেবিনে কর্মকর্তা ও পরিদর্শকদের তদারকির মাধ্যমে ট্রেন অপারেশন পরিচালনা করা হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও ট্রেন শিডিউল অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে রেলপথ পেট্রোলিং এর ব্যবস্থা করা হবে। রেল ব্রিজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিগনালিং ব্যবস্থা, কোচ এবং ইঞ্জিনের নিবিড় পরিচর্যা ও পরীক্ষা সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানোর জন্য রিলিফ ট্রেনগুলো সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হবে।
সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদা পূরণের জন্য পাহাড়তলি ওয়ার্কশপ থেকে ৯০টি এমজি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৬০টি বিজি ও ১২টি এমজি কোচসহ সর্বমোট ১৬২টি কোচ আউটটার্ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে মোট ২৪৯টি (পূর্বাঞ্চলে এমজি ১০৫টি ও পশ্চিমাঞ্চলে বিজি ১২৫টি ও এমজি ১৯টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেনে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, উপসচিব মো. তৌফিক ইমাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. আরিফুজ্জামান, (রোলিং স্টক) পার্থ সরকার, (অপারেশন) এ এম সালাহ উদ্দীন প্রমুখ।