

অবরুদ্ধ গাজার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকতে শুরু করেছে ইসরায়েল। উপত্যাকার মসজিদ, হাসপাতাল, স্কুল কোনো কিছুই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
শুক্রবার রাতে গাজার অ্যাম্বুলেন্স বহরে হামলা চালায় ইসরায়েল। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে হামলার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। পশ্চিম গাজার আল-নাসের শিশু হাসপাতালেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে এই সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শুক্রবার আল-শিফা হাসপাতাল, আল-কুদস হাসপাতাল এবং ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার গাজার দক্ষিণের দুটি মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী আল-সাবরা এলাকার কাছাকাছি আলি বিন আবি তালিব এবং আল-ইস্তিজাবাহ মসজিদ দুটি ধ্বংস করেছে।
একই দিন গাজা সিটির আল-ওয়াফা হাসপাতালের জেনারেটর ব্যবস্থার ওপর হামলা চালিয়েছে। বৃদ্ধদের চিকিৎসা ও মেডিক্যাল পুর্নবাসনের জন্য জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য থাকা সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এর ফলে হাসপাতালের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে এসেছে।
রাফাহ উপকূলে জেলেদের নৌকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জেলেদের নৌকা আগুনে জ্বলার খবর নিশ্চিত করেছেন।