গাজায় যুদ্ধের মধ্যে ইসরাইলে ইরানের হামলায় সব হিসেবে নিকেশ এলোমেলো হয়ে গেছে। যুদ্ধের গতিপথ কোন দিকে মোড় নিয়ে সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ইরান ও ইসরাইল দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গেছে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ।
ইরানকে ইসরাইলের সঙ্গে উত্তেজনা এড়াতে আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এই আহ্বান জানান তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইরানের শীর্ষ কূটনীতিককে ফিদান বলেছেন, আঙ্কারা চায় না মধ্যপ্রাচ্যে আরও উত্তেজনা ছড়াক।
সিরিয়ার ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরাইলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তিনি এই আহ্বান জানালেন।
জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা সমাপ্ত হয়েছে।
তুর্কি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, তিনি আরও বলেছেন ইরান হামলার শিকার না হলে আর আক্রমণ করবে না।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার বদলা হিসেবে শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়া শুরু করে ইরান। ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে এটিই ইরানের প্রথম কোনো সরাসরি হামলা।
ইসরাইল দাবি করেছে, ইরানের ছোড়া ৩০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার এক বিবৃতিতে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই প্রতিরোধ করেছে তারা ও মিত্র বাহিনী।
ইরানের হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সহায়তা করলেও প্রতিশোধমূলক হামলায় সমর্থন দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।