ইফতারে কেমিক্যালযুক্ত শরবত খেতে পছন্দ করি আমরা। কারণ এ ধরনের স্বাদ বেশ ভালো হয়। কিন্তু স্বাদ থাকলে কী হবে, পুষ্টি বলতে কিছুই থাকে না।
ফলস্বরূপ সেই শরবত খেলে তৃষ্ণা মেটে ঠিকই কিন্তু শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। আবার এ ধরনের শরবত খেলে শরীরে বিভিন্ন রোগও বাসা বাঁধতে পারে। তাই এসবের পরিবর্তে খেতে হবে তাজা ফলের শরবত। এসময় পাওয়া যায় বেল।
ইফতারে বেলের শরবত খেলে তা আপনাকে নানাভাবে উপকার করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
রমজানে অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়। এটি বেশ অস্বস্তিদায়ক। তাই এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে ইফতারে খেতে পারেন বেলের শরবত।
কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, বেলের শরবত খেলে তা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে ও পেট পরিষ্কার করতে কাজ করে। ইফতারের সময়ই কেবল নয়, বছরের অন্যান্য সময়েও বেল খেতে পারলে এ ধরনের সমস্যায় উপকার পাবেন।
২. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে
যারা গ্যাস্ট্রিকের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন তারা ইফতারে বেলের শরবত খেতে পারেন। কারণ এই ফলের শাঁসে থাকে ফাইবার, যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে কাজ করে। প্রতিদিনের ইফতারে বেলের শরবত রাখতে চেষ্টা করুন। তা সম্ভব না হলে সপ্তাহে তিনদিন অন্তত খাবেন।
৩. ডায়াবেটিস দূরে রাখে
যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা ইফতারে নিয়মিত বেলের শরবত খেতে পারেন। কারণ এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। তবে এক্ষেত্রে শরবতের সঙ্গে চিনি যোগ করা যাবে না। বেলে থাকা মেথানল নামক একটি উপাদান ব্লাড সুগার কমাতে অনবদ্য কাজ করে। যে কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
৪. আর্থ্রারাইটিস দূরে রাখে
নিয়মিত বেলের শরবত খেলে তা আপনাকে আর্থ্রারাইটিস থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে। এই ফলে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান বাতের ব্যথা ভালো করতে কাজ করে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন বেলের শরবত। তবে এক্ষেত্রে শরবতের সঙ্গে অতিরিক্ত চিনি মেশানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫. শক্তি বৃদ্ধি করে
সারাদিন রোজা রাখার ফলে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শক্তি অনেকটা কমে যায়। যে কারণে দুর্বলতা বা ক্লান্তি দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি ইফতারে বেলের শরবত খান তাহলে তা আপনাকে শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রতি ১০০ গ্রাম বেলে ১৪০ ক্যালোরি থাকে। সেইসঙ্গে এটি মেটাবলিক গতি বাড়াতেও কাজ করে।