নভেম্বর ২৫, ২০২৪

মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুন লাগার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রডব্যান্ড (উচ্চগতি) ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

দেশের মোট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মধ্যে ৮৫ শতাংশ গ্রাহক পূর্ণগতির ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছেন। বাকি ১৫ শতাংশ ব্যবহারকারী ধীরগতির ইন্টারনেট পাচ্ছেন কিন্তু তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক।

ইন্টারনেট পরিস্থিতির খবর জানতে আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর সবকিছু (সচল ও কর্মক্ষম ডিভাইস) বের করে এনে অন্য ডাটা সেন্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে ইন্টারনেটের অচল অংশ সচল হয়েছে। গতি পরিপূর্ণরূপে ফিরে পেতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে এখন দুটি বাধা। প্রথমত, এনটিটিএন (ভূগর্ভস্থ ক্যাবল সেবা) ট্রান্সমিশনে ধীরগতি। দ্বিতীয়ত, আমরা লাইভ করে দিয়েছি কিন্তু ক্যাশ সার্ভার আপডেট হতে সময় লাগছে। ক্যাশ সার্ভার আপডেট হতে সাধারণত ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। অনেক সময় ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টাও লেগে যায়। তবে আশা করছি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আপডেট হয়ে যাবে।

আইসিএক্স (ইন্টার কানেকশন এক্সচেঞ্জ) নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মোবাইলের ভয়েস কল ও মোবাইল ইন্টারনেট সেবার ৯০ শতাংশ শনিবারের (২৮ অক্টোবর) মধ্যে স্বাভাবিক হবে বলে মোবাইল ফোনগুলোর সংগঠন এমটব সূত্রে জানা গেছে। তবে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ অ্যাপ-নির্ভর যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে এখনও সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, মহাখালীর খাজা টাওয়ারে দুটি ডাটা সেন্টার, আইসিএক্স (ইন্টার কানেকশন এক্সচেঞ্জ) এক্সচেঞ্জ, ১০টির বেশি আইআইজি প্রতিষ্ঠান, একাধিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) অফিস, কলসেন্টার ইত্যাদি ছিল। আগুনে ভবনটির বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বিস্তর ক্ষতি হয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর। ঢাকা শহরে এ ধরনের আরও ডাটা সেন্টার থাকলে ক্ষতির পরিমাণ কম হতো বলে মনে করছেন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীরা। তাই ব্যবসায়ীরা সরকারি উদ্যোগে ঢাকায় ডাটা সেন্টার গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...