নভেম্বর মাসে দুবাইয়ে সম্পদের দাম এযাবৎকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে। ২০২০ সালে অক্টোবর মাসের পর দুবাইয়ে সম্পদের দাম ৪৫ শতাংশ বেড়েছে।
আরব বিজনেস নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গত নভেম্বরে দুবাইয়ে সম্পদের দাম গড়পড়তা ১ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে; প্রতি বর্গফুট সম্পদের দাম এখন ১ হাজার ২৭১ দিরহাম, যা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের রেকর্ড ভেঙেছে।
আবাসন খাতের বাজার বিশ্লেষক প্রপার্টি মনিটর প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২০ সালে করোনার মধ্যে দুবাইয়ে সম্পদের দাম এযাবৎকালের সবচেয়ে নিচে নেমে যায়। এরপর গড়ে সব ধরনের সম্পদের দাম বেড়েছে ৪৪ দশমিক ৯ শতাংশ। শুরুতে অণু পরিবারের বসবাসের উপযোগী বাড়ির দাম বেড়েছে।
এসব বাড়ির চাহিদা সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অ্যাপার্টমেন্টের চাহিদা বাড়ছে; তবে ভিলা এবং টাউন হাউসগুলোর চাহিদা ও দাম যে গতিতে বেড়েছে, সেই তুলনায় অ্যাপার্টমেন্টের দাম অতটা বাড়েনি।
ব্যবসায়ীরা জানান, করোনার পর বিদেশি বাসিন্দা ও বিনিয়োগকারীদের বিপুল আগ্রহের কারণে দুবাইয়ে বাড়ি, ফ্ল্যাটসহ সব ধরনের আবাসনের দাম ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ফলে আবাসনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। প্রথমে বিলাসবহুল আবাসনের ঘাটতি ছিল; এখন সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের ক্ষেত্রেও ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
গোল্ডেন ভিসা দিয়ে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বিশেষ করে দুবাই শহর। বদৌলতে শহরটির আবাসন বাজার বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে ইউএই। একটি উদাহরণ দেওয়া যাক, পাম জেবেল আলী নামের এক কৃত্রিম দ্বীপ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের এক সকালে এটির কার্যালয়ের সামনে ক্রেতারা ব্যাপক ভিড় করেন।
করোনার জের ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্ব অর্থনীতি যখন টানা চার বছর ধরে একধরনের স্থবিরতা ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে, তখনো দুবাইয়ের উত্থান অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। গত বছর দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। এমনি এমনি তা হচ্ছে না, যথাযথ নীতি প্রণয়ন করেই তারা এই গতি এনেছে।
দুবাইয়ের জনসংখ্যা বাড়ছে। জানা যায়, আবাসন সরবরাহের তুলনায় দ্রুতগতিতে জনসংখ্যা বেড়েছে এই শহরের। দেশটির পরিসংখ্যান কেন্দ্রের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে দুবাই শহরে এক লাখ নতুন বাসিন্দা এসেছেন, কিন্তু গত বছর মাত্র ৫০ হাজার নতুন আবাসন হস্তান্তর করা হয়েছে। চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে তাই আরও নতুন আবাসনের চাহিদা আছে সেখানে।