

রুশ বাহিনীকে হটাতে বেশ কয়েকদিন ধরেই পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। ঠিক কবে কখন এ হামলা শুরু হবে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি দেশটি।
তবে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন জানিয়েছেন, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ডনবাসের বাখমুত শহরে শুরু হতে পারে ইউক্রেনীয়দের বহুল কাঙ্খিত পাল্টা হামলা। এছাড়া তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তার সেনাদের কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্রও নেই।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) টেলিগ্রামে এক অডিও বার্তায় প্রিগোজিন বলেছেন, ইউক্রেনের সেনাদের পাল্টা আক্রমণ আসন্ন। এই আক্রমণ চালাতে ইউক্রেনীয় কমান্ডাররা বাখমুত শহরে নিজেদের সবচেয়ে সেরা সেনাদের পাঠাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে ইউক্রেনীয়দের হুমকি সত্ত্বেও বাখমুতের বিভিন্ন অঞ্চল দখল অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন প্রিগোজিন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যে কোনো মূল্যে এগিয়ে যাব, শুধুমাত্র ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে পর্যদুস্ত এবং তাদের হামলা প্রতিহত করতে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আগামী মাসে ইউক্রেনীয় সেনারা হামলা চালানো শুরু করবে, যখন আবহাওয়া ভালো হবে এবং মাটি শক্ত হবে।’
ইউক্রেনের সেনা কর্মকর্তারা গত কয়েকদিন ধরে পাল্টা আক্রমণের ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন। তারা জানিয়েছেন, যে কোনো মুহূর্তে এই আক্রমণ শুরু হতে পারে। আর এটি হবে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান।
ইউক্রেনীয়দের সম্ভাব্য পাল্টা আক্রমণ প্রতিহতে কয়েকদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়ার সেনারাও। যুদ্ধের যেসব সম্মুখভাগ রয়েছে সেসব স্থানে বর্তমানে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে চলে গেছে রুশ বাহিনী।
সূত্র: আল জাজিরা