

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বিভাগের গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, ইউক্রেনে বড় হামলা চালানোর সক্ষমতা আপাতত রাশিয়ার নেই। আর এ কারণে দেশটির সেনারা বর্তমানে রক্ষণাত্মক অবস্থানে চলে গেছেন। তবে গোয়েন্দারা সঙ্গে এও জানিয়েছেন, রুশ সেনাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর ক্ষমতা এখনো আগের মতোই রয়ে গেছে।
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দাদের মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসোভ ইউক্রেনিয়ান টেলিভিশনকে সোমবার (১৫ মে) বলেছেন, ‘রাশিয়া এখন রক্ষণাত্মক অবস্থানে আছে’ যদি যুদ্ধের পুরো সম্মুখভাগের কথা বলা হয়, তাদের ‘পুনরায় বড় হামলা চালানোর’ সক্ষমতা নেই।
তিনি আরও বলেছেন, ‘তারা এখন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। আর ইউক্রেনীয় অঞ্চলগুলো থেকে রুশ সেনাদের হটিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি যখন নেওয়া হবে তখন ইউক্রেনীয় কমান্ড অবশ্যই বিষয়টি আমলে নেবে। কারণ এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
ইউক্রেনের এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শীতকালের পর রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তু পরিবর্তন করেছে। এছাড়া তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের হামলার মাত্রাও কমে এসেছে। শীতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎসহ অন্যান্য জ্বালানি অবকাঠামোয় নিয়মিত আঘাত হানত রুশ ক্ষেপণাস্ত্র।
তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য তৎপর রয়েছে এবং তারা শুধুমাত্র ইরানের অ্যাটাক ড্রোন শহীদই পরিবর্তন করেনি, তারা পুরো বিশ্বে অস্ত্র খুঁজছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা এক্ষেত্রে সফলতা পায়নি।’
রাশিয়ার স্থল হামলা চালানো ক্ষমতা কমলেও এখনো তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের ভান্ডার ফুরিয়ে যায়নি। ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা আন্দ্রি ইউসোভ জানিয়েছেন, হামলার তীব্রতা বাড়ানোর জন্য রুশ বাহিনীর কাছে পর্যাপ্ত এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র আছে। এগুলো বিমান থেকে ছোঁড়ার জন্য তৈরি করা হলেও, রুশ বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মিসাইল লঞ্চার ব্যবহার করে ছুঁড়ে থাকে। যেগুলো আঘাত হানা স্থানে বড় ক্ষতি সাধন করতে পারে।
সূত্র: সিএনএন