শুরুটা দারুণ হলেও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রানে। যদিও এক সময় মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের স্কোর তিনশো ছাড়িয়ে যাবে।
কারণ ট্রেন্ট বোল্টের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলেন জনি বেয়ারস্টো। আর এভাবেই এবারের বিশ্বকাপে রানের খাতা খুলেছে ইংল্যান্ড। বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান দারুণ শুরু করেছিলেন। তবে এই জুটিকে ৪০ এর বেশি করতে দেননি হ্যানরি নিকলস। এই কিউই পেসারের লেংথ বলে আউট সাইড এজ হয়ে আউট হয়েছেন ২৪ বলে ১৪ রান করা মালান। এরপর বেয়ারস্টো বেশিদূর এগোতে পারেননি। তাকে ফিরিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার।
নিউজিল্যান্ডের এই স্পিনারের কুইকার ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। হ্যারি ব্রুক ২৫ ও মঈন আলী ১১ রান করে ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। যদিও একপ্রান্ত আগলে রেখে ইংল্যান্ডের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন রুট।
এই অভিজ্ঞ ব্যাটার একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন ৮৬ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। ১টি ছক্কা ও ৪টি চারে এই রান করেছেন তিনি। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফিরিয়েছেন গ্ল্যান ফিলিপ্স। এরপর জস বাটলারের ৪২ বলে ৪৩ রান ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি।
লিয়াম লিভিংস্টোনের ২০, স্যাম কারানের ১৪, ক্রিস ওকসের ১১ ও দুই অপরাজিত ব্যাটার আদিল রশিদের ১৫ ও মার্ক উডের ১৩ রানে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাট হ্যানরি ৪৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার।