ধর্ষণ মামলায় ব্রাজিলিয়ান তারকা দানি আলভেজকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড ও দেড় লাখ ইউরো জরিমানা করেছে স্পেনের আদালত। আর জরিমানার সেই অর্থ জোগান দিয়েছে নেইমারের পরিবার। তাতে আলভেজের শাস্তির পরিমাণও কিছুটা কমেছে। ব্রাজিল ও বার্সেলোনা দলের সাবেক সতীর্থ আলভেজকে আর্থিক সাহায্য করায় নেইমারের উপর চটেছেন ব্রাজিলের ওয়ার্কাস পার্টির প্রেসিডেন্ট গ্লেইসি হফম্যান।
ফুটবল এস্পানা পত্রিকাকে হফম্যান বলেছেন, ‘ধর্ষক দানি আলভেজের শাস্তিটা অনুকরণীয়। এটা দেখিয়েছে, সমাজ যৌন হেনস্তাকারী আর নারীবিদ্বেষীদের বরদাস্ত করে না।’
হফম্যান এরপর যোগ করেন, ‘অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে এই যে সে অর্থ ধার করেছে নেইমারের কাছ থেকে। সে ক্ষতিপূরণ দিয়ে শাস্তি কমিয়েছে, যা কিনা ভুক্তভোগীর সমস্যার সমাধান করবে না। এটা তাদের যন্ত্রণাও লাঘব করতে পারবে না।’
শুনানিতে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আলভেজ। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন এই ব্রাজিলিয়ান।
আলভেজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার একটি নাইটক্লাবে এক যুবতী নারীকে ধর্ষণ করেছেন তিনি। এই অভিযোগে পরের মাসে বার্সেলোনায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্পেনের আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তখন থেকেই বার্সেলোনার একটি কারাগারে আছেন বার্সেলোনার সাবেক এই ডিফেন্ডার।
স্পেনের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাইটক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন ওই নারী। সম্মতি ছাড়াই আলভেজ নাকি তার অন্তর্বাসের নিচের দিকে স্পর্শ করেন। ওই নারীর অভিযোগ, আলভেজ তাকে চড় মারেন এবং নাইটক্লাবের বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
এদিকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি জেলেই আত্মহত্যা করতে পারেন বলেও সন্দেহ অনেকের। সে কারণে অ্যান্টি সুইসাইড প্রটোকল চালু করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম টিভি চ্যানেল ‘টেলেসিনকো’র অনুষ্ঠান ‘ফিয়েস্তা’কে এ কথা জানিয়েছেন কারাগারে আলভেজের সঙ্গে একই কক্ষে থাকা আরেক কয়েদি।
ব্রাজিলের হয়ে আলভেজ খেলেছেন ১২৬ ম্যাচ। গত ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিলের অধিনায়কত্ব করেন তিনি। এছাড়াও ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ের মালিক আলভেজ। একসময়ের সতীর্থ লিওনেল মেসির সমান ৪৪ শিরোপা নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন তিনি।