

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আরও ছয় বছরের জন্য নিজেকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে যাচ্ছেন। গতকাল রোববার রাশিয়ায় তিন দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বুথ ফেরত জরিপে সবাই যা আশা করছিল তাই হয়েছে। নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে নিজের অবস্থানকে আরও পাকাপোক্ত করে নিচ্ছেন পুতিন। তবে তার এই বিজয়কে গণতান্ত্রিক বৈধতার কমতি হিসেবে সমালোচনাও করা হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।
নির্বাচন পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন নির্বাচনের ফলাফলকে পশ্চিমাদের অগ্রাহ্য করতে ও ইউক্রেনে অভিযানের সিদ্ধান্তকে সত্যতা দেওয়ার প্রতিফলন হিসেবেই মনে করছেন বলে জানান।
আজ সোমবার (১৮ মার্চ) ভোরে ভ্লাদিমির পুতিন তার নির্বাচনি সদর দফতর থেকে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, তারা যে কেউ আমাদের যতোই ভয় দেখাতে চান না কেন, অথবা যতোই আমাদের চেপে ধরার চেষ্টা করা হোক না কেন, আমাদের ইচ্ছাশক্তি, আমাদের সচেতনতাকে ইতিহাসের কেউ কখনোই দাবিয়ে রাখতে পারেনি।
পুতিন বলেন, তাদের তৎপরতা এখন কাজে দিচ্ছে না, ভবিষ্যতেও দেবে না এবং কখনোই তা হবে না।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সূত্র অনুসারে ষাট শতাংশ ভোট গণনার পর পুতিন ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। এই ফলাফলের অর্থ হচ্ছে, ৭১ বছর বয়সি পুতিন ক্ষমতায় থাকতে জোসেফ স্টালিনের মেয়াদকেও ছাড়িয়ে যাবেন এবং তিনি ২০০ বছরের মধ্যে রাশিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকবেন।
নির্বাচনে কমিউনিস্ট প্রার্থী নিকোলাই খারিতোনভ চার শতাংশের কম ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে, নতুন মুখ ভ্লাদিশ্লাভ দাভানকোভ তৃতীয় এবং কট্টর জাতীয়তাবাদী প্রার্থী লিওনিদ শ্লাটস্কি চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন বলে আগাম ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে।
এই নির্বাচনে ভোট পড়ে ৭৪.২২ শতাংশ যা নির্বাচনি কর্মকর্তাদের হিসাবে ২০১৮ সালের ৬৭.৫০ শতাংশকে ছাড়িয়ে গেছে।
তবে পুতিনের এই বিজয় নিয়ে কোনো সন্দেহ কখনোই ছিল না কেননা তার সমালোচকরা বেশিরভাগই হয় জেলখানায়, নয়তো নির্বাসনে অথবা মৃত।