

ইতিহাস বলছে চলতি বছর ইতিহাদে কোনো ম্যাচ হারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। এছাড়া সাম্প্রতিক ফর্মটাও কথা বলছিল ক্লাবটির হয়ে। তবে প্রতিপক্ষ দলটার নাম যখন রিয়াল মাদ্রিদ, হতে পারতো যে কোনো কিছুই।তবে দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে এদিন পাত্তাই পেল না রিয়াল মাদ্রিদ।
ঘরের মাঠে খেলার কারণেই কি না, ট্যাকটিকসের দিক থেকেও গার্দিওলার সিটিকে আজ যেন একটু বেশিই অপ্রতিরোধ্য দেখাল। সিটি এমনিতেই বল পায়ে রেখে খেলতে পছন্দ করে। আজও তার ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিটের দিকে তাকালে বোঝা যাবে সিটির পারফরম্যান্স আসলে কতটা সর্বগ্রাসী ছিল। এ সময় সিটির দখলে বল ছিল ৮০ শতাংশ। রিয়াল নামমাত্রই মাঠে ছিল। আক্রমণ দূরে থাক, বল স্পর্শ করার জন্যও মাথাখুটে মরছিল বেনজেমা-ভিনিসিয়ুসরা।
পারছিল বলের দখল নিতে, না পারছিল প্রেসিং করে সিটির আক্রমণের ধারাকে ভেঙে দিতে। শুরুর এই আধাঘণ্টাতেই মূলত ম্যাচের ভাগ্য লিখে দেন গার্দিওলা। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত যার এতটুকু নড়চড় হয়নি। যার ফলস্বরূপ শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের অমিত শক্তিধর রিয়ালও গার্দিওলার জাদুতে বশ মেনেছে।
জ্যাক গ্রিলিশ যেমনটা বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় না খুব বেশি দল রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে এমনটা করতে পারবে। কিন্তু যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে খেলেছি (করতে পেরেছি)। বিশেষ করে এখানে খেললে নিজেদেরকে অপ্রতিরোধ্য বলেই মনে হয়।’