ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

দেশে গত বছরের মার্চ থেকেই ডলার সংকট চলছে। সংকট কাটাতে আমদানিতেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। চাপ সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় ডলারের দাম বেড়েই চলছে। আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের দাম আবারও বেড়ে ১০৯ টাকায় উঠেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, বুধবার (১৪ জুন) আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলার ১০৯ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ রেট। এর আগে যেটা ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সা ছিল। এক বছর আগে ছিল ৯২ টাকা ৮০ পয়সা।

অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করায় টান পড়ছে রিজার্ভেও। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৬ কোটি ৯০ লাখ ডরার বিক্রি করা হয়েছে। এর ফলে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারে।

এছাড়া গত ৩১ মে রেমিট্যান্স-রপ্তানি আয়ে ফের ডলারের দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) নেতারা।

এর ফলে এখন প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে দাম পাবেন ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন। আর রপ্তানিকারকেরা রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম পাবেন ১০৭ টাকা। এতদিন প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ছিল ১০৮ টাকা এবং রপ্তানি আয়ে ছিল ১০৬ টাকা।

এর আগে গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ অবস্থা তৈরি হয়। সংকট মোকাবেলায় শুরুতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতো বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এতে সংকট কমার পরিবর্তে আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এর পর থেকে এ দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...