অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় আদালতে ন্যায়বিচার চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
রোববার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্র্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তিনি ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
এদিন বেলা ৩টা ১৭ মিনিটে আদালতে আসেন জয়। ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে আদালত জয়ের জবানবন্দি গ্রহণ শুরু করেন। সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে জবানবন্দি দেন জয়। বেলা ৪টার দিকে জবানবন্দি শেষ হয়। এর পর তার গাড়িবহর আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এসব তথ্য জানিয়েছেন। মামলার পাঁচ আসামি পলাতক। এজন্য আদালতে তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না এবং জেরা হয়নি।
এদিকে সাক্ষ্য গ্রহণকালে আদালতকক্ষে সাধারণ আইনজীবী ও সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। শুধু চারজন আইনজীবী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন—আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী কাজী নজিব উল্ল্যাহ হিরু, ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ আবু সাঈদ সাগর ও সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রসিকিউটর আব্দুর রহমান কাজল।
জয়ের আদালতে আগমন উপলক্ষে ঢাকার সিএমএম আদালতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
এ নিয়ে মামলাটিতে ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার পাঁচ আসামি হলেন—দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান,সাংবাদিক শফিক রেহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনে জাসাস কার্যালয়, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহর, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
ওই ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।