

বাবর আজম-ফজলে মাহমুদের ব্যাটে দারুণ শুরু, মাঝে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বোলারদের ফেরা, কিন্তু শেষ দিকে আবার আজমতউল্লাহ ওমরজাই-নুরুল হাসান সোহানদের ঝোড়ো ব্যাটিং—শেষ ১৬ বলে তারা তুলেছেন ৫০ রান। যার সৌজন্যে হাইভোল্টেজ ম্যাচে কুমিল্লাকে ১৬৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। তবে রংপুরের ৫ উইকেট পড়ার পরও ব্যাটিংয়ে নামেননি সাকিব আল হাসান।
সিলেটের উইকেট বেশ ভালো। তাই টস জিতে অনায়াসে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রংপুরের অধিনায়ক সোহান। যদিও ওপেনিং জুটিটা তাদের আজও বড় হয়নি। ব্রেন্ডন কিংয়ের ব্যাট হাসেনি আজও। একটি করে ছক্কা ও চারে ১৪ রান করে তৃতীয় ওভারে তানভীর ইসলামের বলে ফেরেন ওই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার।
দ্বিতীয় উইকেটে বাবর ও ফজলের ৪৬ বলে ৫৫ রানের এক জুটি। এই উইকেটে খুলনা পৌঁছে যায় ৭২ রানে। ১১তম ওভারে বাবরকে (৩৭) ফিরিয়ে রংপুরকে ব্রেকথ্রু এনে দেন কুমিল্লার আরেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার খুশদিল শাহ। ২১ বলে ৩০ রানের কার্যকর এক ইনিংস খেলে ১৪তম ওভারে ফজলে ফেরেন মোস্তাফিজুর রহমানের বলে।
যখন রংপুরের ঝোড়ো ব্যাটিং দরকার, তখন প্রত্যাশা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি । ১৮ বলে ১৪ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। এরপর মূলত ঝড় তোলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ২০ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন এই আফগান অলরাউন্ডার। তাঁর সঙ্গে ৬ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান। মাঝে ৭ বলে ১৩ রানে ফেরেন মোহাম্মদ নবী। তাতে রংপুর ২০ ওভারে ৫ উইকেটে তোলে ১৬৫ রান। কুমিল্লার হয়ে রেয়মন রেইফার ২০ রানের বিপরীতে নিয়েছেন ২টি উইকেট। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন মোস্তাফিজ। ৪৮ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ১ উইকেট।