

সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ৭ বছরের সাজার রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে এ মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে খালাস দেয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ মামলার যত কথা-
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে কয়টি দুর্নীতির মামলা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত অর্থ পাচারের এ মামলাটি। এই মামলায় বিচারিক আদালতে খালাস পান তারেক রহমান। যে বিচারক এ মামলায় তাকে খালাস দেন ওই বিচারককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
পরে এ খালাসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এখানে এসে তারেক রহমানকে দেয়া হয় সাত বছরের কারাদণ্ড ও বিশ কোটি টাকা জরিমানা। তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্য মামলার সঙ্গে অর্থ পাচার মামলায় আইনি পদক্ষেপ নেন তারেক রহমানের আইনজীবীরা। খালাস চেয়ে আপিলের অনুমতি চান ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও। যার শুনানি হয় আপিল বিভাগে। শুনানি শেষে দুইজনেরই সাজার রায় স্থগিত করেন সর্বোচ্চ আদালত।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগের আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৮৪ টি মামলা হয়। এরমধ্যে প্রায় ৪০টি মামলায় জিতেছেন তারেক রহমান। দণ্ড হওয়া আরো তিন মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে।
তার আইনজীবী বলছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় দেশের মানুষ ও নেতাকর্মীরা।