দেশের পিছিয়েপড়া অঞ্চলগুলোতে অতিদারিদ্র্য দূরীকরণে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে জোর দেয়া উচিত। মঙ্গলবার (২৩ মে) কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ঢাকার আগারগাঁওস্থ পিকেএসএফ ভবনে পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল-ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (পিপিইপিপি-ইইউ) প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) দেশের অতিদারিদ্র্য-প্রবণ ১২টি জেলার ৩৪টি উপজেলার ১৪৫টি ইউনিয়নে ২.১৫ লক্ষ অতিদরিদ্র খানাভুক্ত ৮,৬০,০০০ মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অর্থায়িত ২২.৮১ মিলিয়ন ইউরো অনুদানভিত্তিক প্রকল্পটি সহিষ্ণু জীবিকায়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন, পুষ্টি ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রতিবন্ধিতা একীভূতকরণ, জলবায়ু সহনশীলতা সৃষ্টি ও কমিউনিটি মোবিলাইজেশনে কাজ করছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রী আরও বলেন, দারিদ্র বিমোচনে প্রশংসনীয় অগ্রগতি সত্ত্বেও দেশের উত্তর, দক্ষিণ, হাওর ও পার্বত্য অঞ্চলের কিছু এলাকায় দারিদ্র্যের হার এখনও অনেক বেশি। এসব অঞ্চলের দারিদ্র্যের হার হ্রাস ও বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট পূরণে পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্প অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি বলেন, লক্ষিত পরিবারগুলোতে টেকসইভাবে উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে কার্যকরী ও ব্যয় সাশ্রয়ী প্রকল্প বাস্তবায়নে পিকেএসএফ বিশেষ জোর দেয়।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূরীকরণে ইইউ অঙ্গীকারাবদ্ধ। পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্প তারই একটি নিদর্শন।
মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তরণ প্রক্রিয়া ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের সাথে উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে পাশে থাকার ইইউ’র প্রতিশ্রুতি তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান বলেন, পিকেএসএফ বর্তমানে দেশের ১.৮ কোটি পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে উপযুক্ত অর্থায়নসহ বহুমাত্রিক কারিগরি ও সামাজিক সেবা প্রদান করছে।