ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫

পাথরের পাশাপাশি চাল আমদানিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দেশের চারদেশীয় স্থলবন্দর। বন্দরটিতে কয়েক দফায় এসেছে টনের পর টন চাল। সোমবার বন্দরটিতে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত থেকে এসেছে পাঁচ ট্রাকে ১২৫ টন আতপ চাল।

আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাল আমদানির তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, ভারত থেকে আবার ১২৫ টন আতপ চাল আমদানি হয়েছে। এ চালগুলো আমদানি করেছে আল আমিন স্ট্যাবিলিসড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ২৫ মেট্রিক টন করে পাঁচটি ট্রাক ইয়ার্ডে প্রবেশ করে।

বর্তমানে বন্দরটিতে ৯৫ শতাংশ পাথর নির্ভর হলেও বর্তমানে চালসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিকদানা, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়। বর্তমানে গত কয়েক দিনে দুই দফায় ২০০ টন চাল আমদানি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন বলেন, গতকাল সোমবার আবারও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি পণ্যবাহী ট্রাকে ১২৫ টন ভারত থেকে আতপ চাল এসেছে। বন্দরে আসার পর এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। এভাবে নিয়মিত চালসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী পণ্য আমদানি করা হলে তাহলে আমাদের দেশে ভোগ্যপণ্য জিনিসপত্রের দাম কমবে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে চলতি সালের গত ১ ফেব্রুয়ারি, ১২ জানুয়ারি, ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর দুই দফায় স্থলবন্দরটি দিয়ে ভারত থেকে পৃথক ভাবে আতপ চাল আমদানি হয়েছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহবায়ক রেজাউল করিম শাহিন বলেন, ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটি দিয়ে চাল আমদানি হচ্ছে। এ পোর্ট দিয়ে যাতে আরও কিছু আমদানি করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছি ও উদ্বুদ্ধ করছি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...