ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে লকারে কোনো সম্পদ রাখতে দেয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে কোনো সম্পদ বের করতে দেয়া হচ্ছে না। ওই সব বিশেষ লকারে গোপনে অপ্রদর্শিত বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ জমা রয়েছে বলে মনে করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এর আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনোভাবেই যাতে লকার থেকে অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে না পারেন সে জন্য সব লকার ফ্রিজ করার অনুরোধ জানিয়ে গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠান দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান।

চিঠিতে বলা হয়, বিগত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতিক্রমে একজন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নরের সেইফ ডিপোজিট তল্লাশি করে। তল্লাশি করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর জমাকৃত তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে।

তল্লাশিকালে রেজিস্টার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কিছু কর্মকর্তারাও সিলগালা করে সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ অনুসন্ধান চলমান রয়েছে জানিয়ে চিঠিতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে গত ৩০ জানুয়ারি অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।অর্থ উপদেষ্টা উক্ত ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িক ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।

এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত কর্মকর্তাদের সেইফ ডিপোজিট সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করে কেউ যাতে উক্ত লকার খুলে রক্ষিত মালামাল নিতে না পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিনীত অনুরোধ করা হলো।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...