জানুয়ারি ৩০, ২০২৫

২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি আগুন লেগেছে বাসাবাড়িতে, যার সংখ্যা ৭ হাজার ১৩১টি (২৬.৭৪%)। এর মধ্যে রান্নাঘরে ২ হাজার ৪১১টি, খড়ের গাদায় ৪ হাজার ৫১৩টি ও দোকানে ১ হাজার ৮৮৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে। বস্তিতে ৮৪টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৮৫টি ও শপিং মলে ৪৮১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

গত বছর সারাদেশে মোট ২৬ হাজার ৬৫৯টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছেন ১৪০ জন ও আহত হয়েছেন ৩৪১ জন। এ বছর গড়ে দিনে ৭৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ অগ্নিকাণ্ডে সর্বমোট ৪৪৬ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয় এবং ফায়ার সার্ভিস ১ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা করেছে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ফায়ার সার্ভিসের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা ও গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটেছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৬৯টি (৩৩.৯৮%), বিড়ি-সিগারেট থেকে ৪ হাজার ১৩৯টি (১৫.৫২%) এবং চুলা থেকে ৩ হাজার ৫৬টি (১১.৪৬%) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি আগুন লেগেছে বাসাবাড়িতে, যার সংখ্যা ৭ হাজার ১৩১টি (২৬.৭৪%)। এর মধ্যে রান্নাঘরে ২ হাজার ৪১১টি, খড়ের গাদায় ৪ হাজার ৫১৩টি ও দোকানে ১ হাজার ৮৮৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে। বস্তিতে ৮৪টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৮৫টি ও শপিং মলে ৪৮১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

আবার পরিবহনের মধ্যে ২৬৮টি যানবাহন, ১১৪টি বাস, ১৩টি ট্রেন ও ৩টি লঞ্চে আগুন লেগেছে। অগ্নিনির্বাপণের সময় ৩৭ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী আহত ও ২ জন মারা গেছেন। এছাড়াও উচ্ছৃঙ্খল জনতা ৩৪টি ফায়ার সার্ভিস গাড়ি ভাঙচুর করে এবং ৮টি গাড়িতে আগুন দেয়।

অগ্নিকাণ্ডে ৩৪১ জন আহতের মধ্যে ২৩৭ জন পুরুষ ও ১০৪ জন নারী ছিলেন। নিহত ১৪০ জনের মধ্যে ১০৭ জন পুরুষ ও ৩৩ জন নারী। সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বাসাবাড়ি, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও রেস্টুরেন্টে।

২০২৪ সালে ফায়ার সার্ভিস ৭৫০ জন নিহত ও ১৫৬ জন আহত ব্যক্তিকে ডুবুরি কার্যক্রমের মাধ্যমে উদ্ধার করেছে। এছাড়া ৩০৩টি পশু, ৫০টি পাখি ও ২২৭টি প্রাণী উদ্ধার করা হয়।

২০২৪ সালে ১৪৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ১৮ হাজার ৯৮৩টি মহড়া ও ৭৭৬৯টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭১৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, সচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলে অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা কমানো সম্ভব।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...