জানুয়ারি ২২, ২০২৫

ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের পঞ্চম সাব–অর্ডিনেটেড বন্ড ছাড়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আন্তর্জাতিক নীতিমালা ব্যাসেল-৩ অনুসারে, মূলধন বৃদ্ধিতে এই বন্ড ছাড়বে ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক। এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর এই বন্ড ছাড়ার বিষয়টি প্রথম জানায় ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, ১ কোটি টাকা মূল্যের মোট ১ হাজার ২০০টি বন্ড ছাড়বে ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক। এই বন্ড আন সিকিউরড, নন-কনভার্টেবল ও রিডিমেবল। সাব–অর্ডিনেটেড বন্ডের বৈশিষ্ট্য হলো এই বন্ডের ঋণ পরিশোধ অন্যান্য বন্ডের তুলনায় কম অগ্রাধিকার পাবে। ধরা যাক, কোনো কোম্পানি আর্থিকভাবে বিপদে পড়েছে এবং সেই সময় তাদের ঋণ পরিশোধ করতে হবে, এই বাস্তবতায় সাব–অর্ডিনেটেড বন্ডধারীদের ঋণ পরিশোধ করা হবে সবার পর।

কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় পরিচালক ও অন্যান্য ঋণগ্রহীতাদের দায় মেটানোর পর সাব–অর্ডিনেটেড বন্ডধারীদের অর্থ পরিশোধ করা হবে। সেই সঙ্গে এই বন্ড কোম্পানির শেয়ারের সঙ্গে বিনিময় করা যাবে না।

২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা। বছরের তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ৭১ পয়সা আয় হয়েছিল।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০২৩ সালের জন্য ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও সাড়ে ১৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ব্যাংকটির পুনর্মূল্যায়নকৃত শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৬৪ টাকা ৪১ পয়সা, ২০২২ সালে যা ছিল ৫৫ টাকা ৬৭ পয়সা।

এ ছাড়া সেই বছর ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ হয়েছে ১৩ টাকা ২ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২৮ টাকা ৩৭ পয়সা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...