রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯-২৭ জানুয়ারি গাজীপুরের মৌচাকে জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় ‘৩২তম এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল এবং ১১তম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি’ উপলক্ষে পৃথক বাণীতে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, ‘আমি ১৯-২৭ জানুয়ারি জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মৌচাক, গাজীপুরে ‘৩২তম এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক এবং ১১তম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি’ আয়োজন করার জন্য বাংলাদেশ স্কাউটসের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’
রাষ্ট্রপ্রধান এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী, আইএসটি সদস্য, প্রশাসনিক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ স্কাউটের স্টেকহোল্ডারদের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, স্কাউটিং এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সুনাগরিক তৈরির মাধ্যমে সুখী ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে বিশ্বব্যাপী অবদান রেখে আসছে। তিনি আরও বলেন, সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে স্কাউটিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
রাষ্ট্রপতি স্কাউট আন্দোলনকে সম্প্রসারিত ও বেগবান করে আগামী প্রজন্মকে মানবিক ও দক্ষ মানবসম্পদে গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য স্কাউট নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘স্কাউট জাম্বুরি বাংলাদেশসহ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্কাউট সদস্যদের জন্য পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারের একটি অনন্য সুযোগ।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বন্ধুত্বের এই বন্ধন ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্কাউট আন্দোলনকে গতিশীল করবে। রাষ্ট্রপতি ‘৩২তম এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল এবং ১১তম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরির একটি সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, বাংলাদেশ স্কাউটস ৩২তম এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্কাউট জাম্বুরি এবং ১১তম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি আয়োজন করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশু-কিশোরদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্কাউট আন্দোলন কয়েক শতাব্দী ধরে বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের শিশু ও যুবকদের আত্মনির্ভরশীল, জনহিতৈষী ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্কাউট আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক, উন্নত ও সমৃদ্ধ-বাংলাদেশ গড়ার।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে বাংলাদেশ স্কাউটসকে সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ আবাসস্থলে পরিণত করতে রূপকল্প-২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়ন করছে।’
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি ৩২তম এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্কাউট জাম্বুরি এবং ১১তম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।